অ্যাম্বার প্রাচীন, প্রাগৈতিহাসিক যুগের একজন বার্তাবাহক, "যখন গাছগুলি বড় ছিল।" প্রযুক্তিগতভাবে, অ্যাম্বার একটি রত্ন বা খনিজ নয়, তবে প্রায় পঞ্চাশ মিলিয়ন বছর আগে বেড়ে ওঠা প্রাগৈতিহাসিক গাছের পেট্রিফাইড রস।
10 থেকে 100 মিলিয়ন বছর আগে আমূল জলবায়ু পরিবর্তন ঘটেছিল, রজন গাছ পড়েছিল এবং নদী দ্বারা উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে সময়ের সাথে সাথে তারা পলি দিয়ে আচ্ছাদিত হয়ে গিয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে শুরু করেছিল। এই রূপান্তরের ফলাফল অসাধারণ বৈশিষ্ট্য সহ একটি প্রাকৃতিক উপাদান।
বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাম্বার আমানত বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত, যেখানে অ্যাম্বার খনন করা হয়েছে, ব্যবসা করা হয়েছে এবং কমপক্ষে 13 বছর ধরে আলংকারিক বস্তুতে তৈরি করা হয়েছে। অ্যাম্বারকে বলা হয় বাল্টিক সাগরের সোনা। যদিও বেশিরভাগ অ্যাম্বার পাথর সমুদ্রে জন্মায়, যার অর্থ নদী এবং স্রোতগুলি তাদের সমুদ্র এবং মহাসাগরে নিয়ে যায়, বিশ্বের বেশিরভাগ অ্যাম্বার সম্পদ খনিজগুলির মতো অন্ত্রের গভীরে লুকিয়ে থাকে।
বাল্টিক অ্যাম্বার প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
প্রাচীন মিশরীয় মমিগুলির চামড়ার নীচে অ্যাম্বারের ছোট টুকরো পাওয়া গেছে। মিশরীয়রা ক্ষয় এবং ক্ষয় বন্ধ করার জন্য অ্যাম্বারের ক্ষমতায় বিশ্বাস করত।
প্রাচীন রোমান এবং গ্রীকরা অ্যাম্বারের জাদুকরী শক্তিতে বিশ্বাস করত, তারা এমনকি প্রভাব এবং শক্তির প্রতীক হিসাবে অ্যাম্বার নেকলেস দিয়ে মানুষকে কবর দিয়েছিল।
প্রাচীন চীনে, মহান উৎসবের সময় অ্যাম্বার পোড়ানোর প্রথা ছিল। এই অনুশীলনটি হোস্টের সম্পদ এবং অতিথিদের সম্মান উভয়কেই নির্দেশ করে।
আম্বার ধর্মেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মুহাম্মদ যুক্তি দিয়েছিলেন যে একজন সত্যিকারের বিশ্বাসীর জপমালা অ্যাম্বার দিয়ে তৈরি হওয়া উচিত।
অ্যাম্বারের নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যগুলির প্রথম লিখিত উল্লেখগুলি হিপোক্রেটিসের রচনাগুলিতে পাওয়া যায়। তিনি নথিভুক্ত করেছেন যে গলায় পরা অ্যাম্বার পুঁতির একটি ছোট স্ট্র্যান্ড মাথা, ঘাড় এবং গলার গুরুতর অভিযোগের কিছু ক্ষেত্রে পরিধানকারীকে স্বস্তি এনে দেয়। এটি বিশ্বাস করা হয়েছিল যে অ্যাম্বার ব্রেসলেট পরা বাত এবং আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের জন্য দরকারী, ক্লান্তি এবং সাধারণ ক্লান্তির অনুভূতি হ্রাস করে। এটা বলা হয় যে একটি অনুরূপ প্রভাব খনিজ একটি মোটামুটি বড় টুকরা সঙ্গে শরীর ঘষা দ্বারা অর্জন করা হয়।
বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ওটার ক্রিম, বাম এবং অ্যাম্বার ইনফিউশনও সুপারিশ করা হয়েছিল। সমস্ত ধরণের ক্বাথ, যার প্রধান উপাদান ছিল অ্যাম্বার, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, অন্ত্র এবং মূত্রাশয়ের ব্যাধি, হার্টের সমস্যা এবং সংবহনতন্ত্রের রোগের চিকিত্সার জন্যও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরে অ্যাম্বার পরা ত্বকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসৃত করে, যা পরে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে।
এই তেলগুলির একটি শান্ত প্রভাব রয়েছে এবং এতে ব্যথানাশক, অ্যান্টিস্পাসমোডিক (শূল এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করার জন্য পেশী শিথিল করতে) এবং অ্যান্টিপাইরেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই কারণেই বাল্টিক অ্যাম্বার নেকলেসগুলি প্রায়শই শিশুদের দাঁতের ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয়।
অ্যাম্বার সর্বদা গয়না এবং শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। অনেক হাই-এন্ড জুয়েলার্স অ্যাম্বার এর অনন্য উষ্ণতার কারণে কাজ করতে পছন্দ করে।
অ্যাম্বার গয়না প্রকৃতির একটি পণ্য, এর অনন্য অন্তর্ভুক্তি, রঙ এবং টেক্সচার সহ, প্রতিটি টুকরো কখনোই এক হয় না। এই কি অতিরিক্ত চরিত্র, সৌন্দর্য এবং রহস্য যোগ!
অ্যাম্বার সহ অস্বাভাবিক গহনার গ্যালারি:
